নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় প্রয়োজন। তবে ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের ব্যবসায় পরিকল্পনার উপর।
আমরা যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে ব্যবসা শুরু করি। তাহলে, ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এখন আমাদের অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে ব্যবসা শুরু সময় কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে? আজ আমরা সেই ১০ টি বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা করবো যা ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন।
১. ব্যবসায়ের স্থান নির্বাচনঃ
ব্যবসায়ের স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যে কাঁচামালের সহজলভ্যতা, বাজারজাতকরণের সুবিধা, অবকাঠামোগত সুবিধা প্রভৃতি থাকে।
২. প্রাথমিক মূলধনঃ
ব্যবসায় সফলতার সাথে পরিচালনার জন্য স্থায়ী ও চলতি মূলধন পর্যাপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। চলতি পুঁজির অভাবে বাংলাদেশের অনেক শিল্প-কারখানা উৎপাদন ক্ষমতার মাত্রা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারে না।
এছাড়া, পাইকারি দরে যদি পণ্য কিনতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক টাকার পণ্য কিনতে হবে। আর কম-টাকার পণ্য কিনলে পণ্যের দামও বেশি পরবে। ফলে, পণ্য বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন না।
৩. পণ্যের চাহিদা নির্ধারণঃ
বাজার জরিপ ও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে পণ্যের সঠিক চাহিদা নিরূপণ ব্যবসায়ে সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। তাছাড়া, পণ্যের বাজারের পরিধি এবং বাজারজাতকরণের কৌশল পূর্বেই যথার্থভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
৪. সঠিক পণ্য নির্বাচনঃ
ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন সাফল্য লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত। পণ্য নির্বাচনের পূর্বে বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি সফটওয়্যার কোম্পানি।
- ১০ টি খাবার যা বিড়ালকে জন্য হতে পারে ক্ষতিকর ?
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি অনলাইন খাদ্য বিতরণ পরিষেবা ।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি ই-লার্নিং ওয়েবসাইট এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ
- সেরা ১০টি বাংলাদেশী খাবার
৫. সঠিক কর্মী নির্বাচনঃ
ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সঠিক কর্মী নির্বাচন করা। এই কারণে, ব্যবসা পরিচালনা জন্য যে সব কর্মী নিয়োগ করা হবে তাদেরকে অবশ্যই যোগ্যতা সম্পন্ন এবং স্বীয় কাজে দক্ষ হতে হবে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, বিশ্বস্ততা প্রভৃতি মানদণ্ডের ভিত্তিতে যাচাই করে নির্বাচন করতে হবে। নিয়োগকৃত কর্মীকে সঠিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও, একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে কোনও কর্মী নিয়োগ না করা হয়।
৬. সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহারঃ
নতুন ব্যবসায় শুরু করার সময় প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহারে বিষয়টির উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব্য দেওয়া প্রয়োজন।কারণ,উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রয়োজনবোধে স্থানীয় ও আমদানিকৃত প্রযুক্তির সংমিশ্রণে ব্যবসার সাফল্য অর্জনের পথকে সুগম করে।
৭. অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাঃ
একজন সফল উদ্যোক্তার ব্যবসা সম্পর্কে পূর্ব-অভিজ্ঞতা এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষাথাকা প্রয়োজন । এই অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা একটি ব্যবসায়কে সফল হতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যে-কোন ব্যবসায়ের ব্যর্থতার প্রধান কারণ হচ্ছে মালিকদের পূর্ব-অভিজ্ঞতা ও ব্যবস্থাপনা কলাকৌশল সম্বন্ধে জ্ঞানের অভাব।
৮. ব্যবসায় ঝুঁকি মোকাবেলায় উপায় অবলম্বনঃ
ব্যবসায় ঝুঁকি মোকাবেলা করার মূল মন্ত্য হচ্ছে সঠিক সময় উপযুক্ত সিন্ধান্ত্য গ্রহন করা। এতে করে , ব্যবসাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায়। সেজন্য উপযুক্ত সিন্ধান্ত্য গ্রহন করার মাধ্যমে ব্যবসায় ঝুঁকি নিরূপণ ও তা মোকাবেলার উপায় নির্ধারণ করা যায় ।
৯. দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকাঃ
- করোনা সম্পর্কিত যে পাঁচটি তথ্য জেনে আপনি অবাক হতে পারেন! – Unknown facts about COVID 19
- খাবেন আপনি হজম করবে ব্যাকটেরিয়া – Gut Bacteria
- বংশগতির ধারক ও বাহক – Chromosome
- আপনার আর টম ক্রুজের বা জ্যাকি চ্যান এর মধ্যে মিল ৯৯.৯%! – Human Genome
- কফি সম্পর্কিত কিছু মজার তথ্য- Interesting Facts related to Coffee
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যবসায়ের সাফল্যতা বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে থাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে সাময়িক ভাবে অবহিত থাকতে হয় এবং সে আলোকে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে হয় ও ব্যবসায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। অধিকন্তু, ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে হলে যে সব বিষয় ব্যবসায় কার্যাবলীকে প্রভাবিত করতে পারে সে সব বিষয় সম্বন্ধে অবহিত থাকতে হয়।
১০. ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণঃ
ব্যবসায় সাফল্য এবং ব্যর্থতা রয়েছে। সেজন্য ব্যবসায় একবার ব্যর্থ হলে তাতে বেঙ্গে পরার কিছু নেই । ব্যর্থতার কারণগুলো খুজে বের করে ও তা বারবার বিশ্লেষণ করে সেটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং সেই কাজগুলো আবার নতুন থেকে শুরু করা।