এই পৃথীবিতে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না , যার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা মানুষের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ । এটি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে স্ট্রোকের মতো জীবনসংহারী ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ গুলি দুশ্চিন্তা করতে করতে শয্যাশায়ী হয়ে যায় । এক পর্যায় হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়। এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপার জন্য কিছু বই রয়েছে । তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বইটি হচ্ছে ”ডেল কার্নেগির ‘হাও টু স্টপ ওরিইং অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং” (How to stop worrying and start living) বইটি। অন্যান্য বইয়ে যা বলা হয়েছে তার সব উপায়ই গুলি আছে ডেল কার্নেগির এই বইটিতে। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে ”ডেল কার্নেগি” এর এই বইটির একটি সারাংশ বটে। চলুন, দেখা যাক, বইটির সারমর্ম এবং কীভাবে আমরা আমাদের জীবনের দুশ্চিন্তা গুলি দুর বা জয় করতে পারি ।
দুশ্চিন্তা সম্পর্কে যেসব মৌলিক বিষয় আমদের জানা উচিত –
১. রৌদ্রোজ্জ্বল ঘরে বসবাস করুন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে নিজেকে শেষ না করে দিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আজকের দিনের জন্য বাচতে শিখুন ।
২. সমস্যা মোকাবিলা করতে “উইলস এইচ ক্যারিয়ারের ” – সূত্র মেনে চলুন। সূত্রটি হচ্ছে –
- ক. চিন্তা করুন আমরা যে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন সেই সমস্যাটি সমাধান করতে পারবেন কি না । আর , না পারলে আপনার সর্বোচ্চ কী কী ক্ষতি/সমস্যা হতে পারে।
- খ. সবচেয়ে সমস্যাটি সমাধান করতে না পারলে এর ক্ষতির দিকটি মেনে নিয়ে মনে মনে প্রস্তুত থাকুন ।
- গ. তারপর শান্তভাবে সবচেয়ে সমস্যাটি থেকে ভালো করার চেষ্টা করুন।
৩. দুশ্চিন্তা যে আমাদের শারীরিক কত বড় ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে নিজেকে মনে করিয়ে দিন।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি সফটওয়্যার কোম্পানি।
- ১০ টি খাবার যা বিড়ালকে জন্য হতে পারে ক্ষতিকর ?
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি অনলাইন খাদ্য বিতরণ পরিষেবা ।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি ই-লার্নিং ওয়েবসাইট এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ
- সেরা ১০টি বাংলাদেশী খাবার
দুশ্চিন্তা বিশ্লেষণ করার উপায় –
১. সবধরনের তথ্য সংগ্রহ করুন।
২. তারপর সেই তথ্যগুলো থেকে একটা সিদ্ধান্তে আসুন।
৩. নিজেকে উদ্বেগমুক্ত রেখে ফলাফলের কথা চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করতে থাকুন ।
৪. যখনই মনে হবে আপনি দুশ্চিন্তা করছেন, নিচের এসব প্রশ্নের উত্তর বের করতে শিখুন –
- ক. সমস্যাটি কী?
- খ. সমস্যাটির কারণ কী কী?
- গ. সম্ভবত কী কী উপায়ে সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে?
- ঘ. সমস্যাটি সমাধান করার সবচেয়ে ভালো উপায় কোনটি?
দুশ্চিন্তা আমাদের ভেঙে ফেলার আগে আমরা যেভাবে দুশ্চিন্তার অভ্যাসকে ভেঙে ফেলতে পারি –
১. নিজেকে ব্যস্ত রাখতে শিখুন ।
২. খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে হইচই করা বাদ দিন ।
৩. যে বিষয়টি হতে পারে ভেবে দুশ্চিন্তা করছেন, সেটি গড়ে কেমন হারে হয়?
৪. যেটি নিশ্চিতই হবে, সে সমস্যাটির সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করতে শিখুন ।
৫. আমাদের উদ্বেগ্ন যতটুকু সমস্যা তৈরি হতে পারে, তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করা।
৬. অতীতকে নিয়ে দুশ্চিন্তা না করা।
মানসিক সুখ-শান্তি আনার ৭টি পদ্ধতি –
১. শান্তি, উৎসাহ, সুস্বাস্থ্য আর আশা দিয়ে মনকে ভরপুর করে রাখা ।
২. আমরা যেসব মানুষকে পছন্দ করি না , তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করে এক মিনিট সময়ও নষ্ট না করা ।
৩. মানুষের অকৃতজ্ঞতাকে মেনে নেওয়া ।
৪. সমস্যাগুলো নয়, আমাদের প্রাপ্তিগুলো গণনা করা।
৫. নিজের মতো হোন। মনে রাখবেন, এই পৃথিবীতে আর কেউ কারো মতো নয়।
৬. ক্ষতির মধ্যেও লাভ বের করতে শিখুন। ” আপনার ভাগ্যে একটি লেবু থাকলে তা দিয়ে লেবুর সরবত বানাতে শিখুন ।
৭. অন্যের জন্য সুখ-শান্তি তৈরি করতে শিখুন ।
দুশ্চিন্তা জয়ের নির্ভুল পদ্ধতি –
১. প্রতিদিন সালাত বা প্রার্থনা করার চেষ্টা করুন।
২. বর্তমানকে নিয়ে বাচার চেষ্টা করুন।