উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি ঘরোয়া উপায়-Natural ways to control Hypertension

0 Shares
0
0
0

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার বা হাইপারটেনশন একটি অতি পরিচিত রোগ। সময়মত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা না হলে, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মত মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগলেও তারা সেই সম্পর্কে অবগত থাকেন না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক রোগীই জানেন না যে তারা এ রোগে ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপ থাকা সত্ত্বেও, একজন ব্যক্তি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এছাড়াও সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সহজেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। এই জন্য আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি ঘরোয়া উপায় জানা প্রয়োজন।

উচ্চ রক্তচাপ হল একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে থাকে। বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮’-এর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি চার জনের একজন উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর মারা যায়। চলুন জেনে নেই উচ্চ রক্তচাপ ১০ টি ঘরোয়া উপায় |

উচ্চ রক্তচাপ কী?

হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দু’টি মানের মাধ্যমে এই রক্তচাপ রেকর্ড করা হয় – যেটার সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টোলিক প্রেশার, আর যেটার সংখ্যা কম সেটা ডায়াস্টলিক প্রেশার। প্রতিটি হৃৎস্পন্দন অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের সময় একবার সিস্টোলিক প্রেশার এবং একবার ডায়াস্টলিক প্রেশার হয়।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়। যদিও বয়স নির্বিশেষে রক্তচাপ খানিকটা বেশি বা কম হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কী সমস্যা তৈরি হয়?

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদযন্ত্রের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে দুর্বল হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করতে না পেরে ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের কাজ বন্ধ করতে পারে বা হার্ট ফেল করতে পারে। এছাড়া, এমন সময় রক্তনালীর দেয়াল সঙ্কুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও থাকে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, মস্তিষ্কে স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণও হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।

আর বিশেষ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধত্বও বরণ করতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, অনেক সময়ই উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ না থাকলেও দেখা যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে এবং রোগী হয়তো বুঝতেই পারেন না যে তার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে।”

উচ্চ রক্তচাপের কারণ ?

  • সাধারণত মানুষের ৪০ বছরের পর থেকে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে
  • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
  • পরিবারে কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
  • নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে
  • প্রতিদিন ছয় গ্রাম অথবা এক চা চামচের বেশি লবণ খেলে
  • ধূমপান বা মদ্যপান
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্য/পানীয় খেলে
  • দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে
  • শারীরিক ও মানসিক চাপ থাকলে
উচ্চ রক্তচাপের কারণ (https://www.publichealthnotes.com/hypertension/)

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণঃ

উচ্চ রক্তচাপের একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ সেভাবে প্রকাশ পায় না। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:

  • প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানো
  • ঘাড় ব্যথা করা
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • অল্পতেই রেগে যাওয়া
  • অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা
  • রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
  • মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া
  • অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা

এসব লক্ষণ দেখা দিলে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে এবং ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কী করবেন?

জীবনযাপনে পরিবর্তন আর নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজন্য কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে:

খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া – লবণের সোডিয়াম রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়, ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা – ধূমপান শরীরে নানা ধরণের বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে ধমনী ও শিরার নানারকম রোগ-সহ হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করা – শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হৃদযন্ত্রের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। বেশি ওজনের মানুষের মধ্যে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।

নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করা – নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে হৃৎপিণ্ড সবল থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা কম করা – রাগ, উত্তেজনা, ভীতি অথবা মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘসময় ধরে মানসিক চাপ অব্যাহত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা – মাংস, মাখন বা তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল রক্তনালীর দেয়াল মোটা ও শক্ত করে ফেলে। এর ফলেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখার ১০ টি ঘরোয়া উপায়

যাদের রক্তচাপ অনেক বেশি তাদের অনেক সময়েই নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। অনেক সময়ে সব কিছুর পরেও রক্তচাপ কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই বাড়িতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

লেবুঃ প্রেশার কমানোর ক্ষেত্রে লেবু হতে পারে কার্যকরী। এক্ষেত্রে প্রেশার (Blood Pressure) বেশি থাকলে কিছুটা লেবু পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই লেবুপানি খেয়ে যেতে হবে দিনে ৩ বার। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যা দ্রুত কমে যেতে পারে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।

রসুনঃ রসুন প্রেশার (BP) কমানোর জন্য খুবই জরুরি। দেখা গিয়েছে যে, প্রেশার বাড়ার সমস্যায় দুটি কোয়া রসুন খেয়ে নিতে পারেন। খালি পেটে খেতে পারেন এই খাবার। এছাড়া আপনি চাইলে ৫ থেকে ৬ ড্রপ রসুনের জুস সকালবেলা খেতে পারেন।রসুনের মধ্যে এলিসিন থাকে যা শরীরে নাইট্রিক অক্সিডের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা মাংস পেশিকে আরাম প্রদান করে। এছাড়া রক্তচাপের ডায়ালোস্টিক এবং সিস্টোলিক সিস্টেমেও আরাম প্রদান করেন। এছাড়া খুব ভালো কাজ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয়না। উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণই হলো রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। রসুনের ব্যবহার করলেই এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।

হলুদঃ আপনার হাতের কাছে থাকা অন্যতম উপকারী মশলা হল হলুদ। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন আপনার প্রেশার অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। প্রেশার কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে হলুদ।

তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতার সাথে দুটো নীম পাতা একসাথে বেটে নিন,এরপরে সেই মিশ্রণটিকে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন.তারপর খালি পেটে সকালবেলা সেই পানি পান করুন। ১৫ দিন নিয়মিত পান করলে কিছুটা উপকারিতা পাবেন |

আদাঃ অতিরিক্ত শর্করার ফলে আর্টেরিজের গায়ে ফলক দেখা যায় যা ক্যালসিয়াম স্কুম তৈরী করে। এর ফলে তা রক্ত চলাচলে বাধা দেয় এবং হাইপার টেনশনের সৃষ্টি করে। আদার মধ্যে অনেক কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শর্করা নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়া আদা রক্ত চলাচল অনেক সহজ করে।তাই প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির সাথে আদা রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।

পেঁপেঃ উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার রোগীদের জন্য পেঁপে এক অব্যর্থ ওষুধ। খালি পেটে পেঁপের একটা টুকরো চিবিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

আমলকীর রসঃ একটি বড়ো চামচে আমলকীর রস নিয়ে তার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে আর বিকেলে পান করুন। রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রিত হবে।

গোলমরিচঃ যখন রক্তচাপ বাড়বে তখন হাফ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো পানিতে ভালো করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা অন্তর পান করুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কার্যকারী উপায়।

দারচিনি ও এলাচঃ দারচিনির ব্যবহারও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর মধ্যেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্ত সঞ্চালনকে ভালো করে। বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রতিদিন এলাচ খাবার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। এর ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে যা রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুবই ভালো

ডার্ক চকোলেটঃ ডার্ক চকোলেটে (70% বা তারচে’ বেশি কোকো) রয়েছে উপকারী যৌগ যা পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড নামে পরিচিত। এই যৌগগুলি শুধুমাত্র রক্তচাপই কমায় না বরং নানারকম হৃদরোগ সম্পর্কিত অন্যান্য পরামিতি সমূহ আরও উন্নত করতে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় (https://www.verywellhealth.com/hypertension-treatment-1763942)

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যেসব খাবার খাবেন না

খাবারে নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। খাবারের তালিকায় তাই আনতে হবে পরিবর্তন। কিছু খাবার যোগ এবং কিছু খাবার বিয়োগ করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

লবণঃ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই বাদ দিতে হবে লবণ। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমে গেলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে লবণ থেকে দূরে থাকতে হবে। খাবার তৈরির সময়ও লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেবেন। খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।

কফিঃ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আরেকটি খাবার ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেটি হলো কফি। এর কারণ হলো ক্যাফেইন আমাদের রক্তনালীকে সরু করে ফেলে। ফলে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তবে চা কিংবা কফি কোনোটাই পান না করা ভালো। এর বদলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি খেতে পারেন।

ফাস্টফুডঃ উচ্চ রক্তচাপ হলে বিদায় জানাতে হবে ফাস্টফুডকে। কারণ এ ধরনের খাবারেই উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিকারী উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে। এ জাতীয় খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, প্রিজারবেটিভ, বিষাক্ত রঙ এবং ক্ষতিকারক চর্বি ব্যবহার করা হয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর জন্য এসব উপাদান ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

রেড মিটঃ খেতে যতই পছন্দ করুন না কেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে রেড মিট অর্থাৎ গরু,খাসি এবং মহিষের মাংস খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ এধরনের মাংসে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

চিনিঃ মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়ার জন্য যতই মন কেমন করুক না কেন, উচ্চ রক্তচাপ হলে চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে আমাদের শরীরে মেদ জমতে থাকে। এর ফলে ওজন বেড়ে যায়। অনেকে বাড়তি ওজনের কারণেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। চিনি বেশি খেলেও শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা আমাদের প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হারালে স্ট্রোক, হার্ট- অ্যাটাক, হার্ট বড় হওয়া, প্যারালাইসিস, কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া সহ নানাবিধ অসুবিধা হতে পারে। তবে নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খাবার গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

Sources:

লেখকঃ খাদিজা আক্তার লাবনী
সম্পাদকঃ উম্মে সুরাইয়া

0 Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Also Like
Top 10 mobile companies in the world

বিশ্বের সেরা ১০ টি মোবাইল কোম্পানি

বর্তমান সময়ে মানুষের চাহিদার সর্বপ্রথমে থাকা প্রোডাক্ট হচ্ছে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন৷ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মোবাইল ফোনের…
Read More

জানুন মাসিকের সময় কি করবেন ও কি করবেন না।

মাসিক এটা নারীদের একটি স্বাভাবিক বিষয়। প্রত্যেক নারী প্রতিমাসে যোনিপথ দিয়ে যে রক্তস্রাব হয় তাকে ঋতুস্রাব বা মাসিক…
Read More

বাংলাদেশের সেরা ১০টি জাদুঘর

বাংলাদেশের জাদুঘরগুলি দেশের ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক যাত্রা অফার করে। ঢাকার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর…
Read More

সানস্ক্রিন এর ব্যবহার ও ত্বকের জন্য কেন প্রয়োজন ?

সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের ত্বককে মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে নিজের ত্বককে সুরক্ষা দিতে…
Read More