খাবেন আপনি হজম করবে ব্যাকটেরিয়া কেমন হবে যদি আপনার গলাধঃকৃত খাদ্য হজম করে দেয় ব্যাকটেরিয়া! এরকমটাই হয়ে আসছে আপনার জন্মের পর থেকে আপনারই অগোচরে। ব্যাকটেরিয়ার কথা শুনলেই আমাদের যেটা সর্বপ্রথম মনে হয় তা হল নানান ধরনের অসুখ এবং ইনফেকশন। কিন্তু জন্মের ঠিক পরপরই কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের পরিপাক নালীতে জন্মাতে শুরু করে। বিজ্ঞানের ভাষায় তারা গাট ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত।আমাদের দেহ খাদ্যের যেসব উপাদান পরিপাক বা হজম করতে পারে না সেগুলো এই গাট ব্যাকটেরিয়াগুলোর মাধ্যমে হজম হয়।
ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহে কিভাবে প্রবেশ করে?
মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মা হতে এবং জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পানের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে প্রবেশ করে।
কোন ধরনের খাদ্য হজম করে থাকে?
খাদ্যের যেসব উপাদান যেমন-জটিল কিছু শর্করা- সেলুলোজ, পেকটিন (শাক-সবজি তে পাওয়া যায়), দুধে বিদ্যমান শর্করা, ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার মানবদেহের পরিপাকতন্ত্র হজম করতে পারে না সেসব উপাদান এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হজম হয়।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি সফটওয়্যার কোম্পানি।
- ১০ টি খাবার যা বিড়ালকে জন্য হতে পারে ক্ষতিকর ?
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি অনলাইন খাদ্য বিতরণ পরিষেবা ।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি ই-লার্নিং ওয়েবসাইট এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ
- সেরা ১০টি বাংলাদেশী খাবার
কীভাবে করে?
খাদ্যদ্রব্য পরিপাকতন্ত্রে গিয়ে বিভিন্ন এনজাইম (রাসায়নিক উপাদান) এর দ্বারা সরল খাদ্য কণায় পরিণত হয় যা পরবর্তীতে আমাদের দেহের কোষ শোষণ করে নেয় এবং শক্তি উৎপাদন করে। এসব এনজাইম গুলো সাধারণত আমাদের দেহেই তৈরি হয়। যদি কোনো কারণে এনজাইম তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে সেই খাদ্য হজম হয় না। উল্লেখিত খাদ্যের উপদানগুলোর হজমে যে এনজাইম দরকার তা আমাদের দেহ প্রস্তুত করে না, সেটা তৈরি করে পরিপাকনালী তে থাকা গাট ব্যাকটেরিয়া। আর তারাই তাদের এনজাইম দিয়ে খাদ্যের জটিল উপাদানগুলোকে ভেঙে সরল কণায় পরিণত করে।
ব্যাকটেরিয়া গুলো কে বাঁচিয়ে রাখতে আপনার করণীয় –
অনিয়ম বা প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ আপনার এইসব ব্যাকটেরিয়াগুলো কে মেরে ফেলতে পারে। তাই না জেনে হুটহাট এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না। ফল, শাক-সবজি, ব্রকলি,শিমজাতীয় সবজি এসব খাবার ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দই হল এরুপ ব্যাকটেরিয়ার অন্যতম উৎস। দই তে রয়েছে ল্যাক্টোবেসিলাস নামের ব্যাকটেরিয়া যা দুধের ল্যাকটোজ উপাদান কে ভেঙে সরল কণায় পরিণত করে। যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রোগ আছে তাদের জন্য দই খুবই উপকারী।
প্রয়োজনীয় এইসব ব্যাকটেরিয়া যেমন আমাদের উপকার করছে; পুষ্টি লাভ, বাসস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের দ্বারা উপকৃতও হচ্ছে। আদান-প্রদান এর এই সম্পর্ককে বলা হয় “সিমবায়োটিক রিলেশনশিপ”।
তো আপনি আপনার এই বন্ধুসুলভ ব্যাকটেরিয়ার জন্য কি করবেন? জানিয়ে দিন কমেন্ট বক্সে।
- Sources:
- www.blogs.scientificamerican.com
- www.natren.com
- www.flexbooks.ck12.org
- www.ncbi.nlm.nih.gov
- www.healthline.com
লেখকঃ উম্মে সুরাইয়া