কেন আমাদের নিয়মিত আত্মসমালোচনা ও আত্ম পর্যালোচনা করা উচিত?

0 Shares
0
0
0

আমার আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির শেরা জীব। মানুষ হিসেবে আমাদের দোষ, গুণ আছে। দোষে গুণে মানুষ, কারোর জীবন এ দোষ কম গুণ বেশি আবার গুণ কম দোষ বেশি।

আমরা ছোট- বড় নানা রকম ভুল বা দোষ করে থাকি। কিন্তু আমারা যে দোষ বা ভুল গুলো করি সে গুলো যদি অন্য কেউ দরে বা বলে দেয় সে গুলি আমরা ভালো ভাবে নি না বা শুনতেও চাই না, বুঝতে চাই না যে কি কারণ এ আমাকে বলতেছে। বিশেষ করে স্কুল লাইফ এমন হয়ে থাকে। আমাদের যদি ভুল বা দোষ গুলো বলে তাহলে আমরা রেগে যাই, মন খারাপ করে বসে থাকি, যে দোষটি ধরিয়ে দেয় তার সাথে জেদ ধরে বসে থাকি ।

আমরা বুঝতে চাই না যে যারা আমাদের ভুল বা দোষ ধরিয়ে দেয় কারণ আমাদের এই ভুল বা দোষ থেকে মুক্ত করে আর্দশ মানুষ হওয়ার দিকে ধাবিত করতে করেছেন। আমরা তা ভবিষ্যতে দূরদর্শিতার অভাব বা চিন্তাশক্তি বিকাশের অভাবে তা বুঝতে পারি না।

আমরা যখন দোষ বা ভুল গুলো বুঝতে চাই না, নিজেরটাই সঠিক মনে করি। অবশ্য একটা সময়ে পারলেও তখন আর জীবন গঠনে কিছু করার সুযোগ পাবো না। অথচ সময় থাকতে সব কিছু বুঝে নেওয়া। আমরা আজকে যা করবো তা থেকে নির্ভর করে আমাদের ভবিষ্যৎ বা ভবিষ্যতে কি হবে। যেমন- আজ আমরা বাবা-মার সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করে থাকলাম বা গুরুজনের সাথে কোনো ভুল করে থাকলাম সেটা তখন আমরা বুঝতে পারলাম না এই ভুল এর ফল আমরা ভবিষ্যতে কোনো না কোনো কাজে বুঝতে পারবো বা আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝিয়ে দেন।

আমরা নিজেদের মাঝে আত্মসমালোচনা ও আত্মপর্যালোচনা অভ্যাস গড়ে তুলি। আত্মসমালোচনা বলতে বুঝায় নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা। আর আরবীতে বলা হয়- * ﻣﺤﺎﺳﺒﺔ ﺍﻟﻨﻔﺲ * অর্থাৎ স্বীয় আত্মার হিসাব গ্রহণ করা।

আত্মসমালোচনার অর্থ হল প্রতিদিন রাতে শয়নের পূর্বে দিনের বেলা যে সমস্ত কাজ নিজের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে সেসব কাজ তদন্ত করা। অতঃপর যে কাজটি উত্তম ও কল্যাণকর প্রতীয়মান হয়, তা আগামীতে অব্যাহত রাখা এবং অনুরূপ কাজে নিজেকে জড়িত রাখা। আর যে সব কাজ নিজের ও সমাজের জন্য মন্দ ও অকল্যাণকর প্রমাণিত হয়, সে কাজটি পরিত্যাগ করা এবং সাধ্যমত তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর আগামীতেও অনুরূপ কাজে জড়িত না হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখা (আদাবুদ দ্বীন ওয়াদ দুনিয়া, পৃঃ ৩৪৬)।

 যদি আমরা আত্মসমালোচনা করি তাহলে আমরা দ্বীনের উপর ইস্তিকামাত অর্জন করতে পারবো,পরকালীন জওয়াবদিহিতা সৃষ্টি, দায়িত্বশীলতা সৃষ্টি, তওবার সুযোগ লাভ,ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন,জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি,ছোট ও বড় পাপ থেকে রক্ষা পাওয়া।

আমরা যদি নিজেদের প্রশ্ন করে নিজের দোষ বুঝতে পারি নিজের গুণ বুঝতে পারি তাহলে কোনো কিছু সিদ্ধান্ত সহজে নিতে পারবো।

লেখকঃ খাদিজা আক্তার লাবনীSSC পরীক্ষার্থী বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।

0 Shares
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Also Like
discover-oneself-through-various-activities

বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে , নিজেকে আবিষ্কার করতে পারা।

আমরা মানুষ হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারা আমাদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ । যে কাজটি আমাদের অনেকেরই…
Read More
৭ টি হালাল ব্যবসা আইডিয়া

হালাল ব্যবসা সমূহ গুলো কি কি? হালাল ব্যবসার ফজিলত ও এর নিয়ম কানুন।

হালাল ব্যবসা নিয়ম এবং হালাল ভাবে অর্থ উপার্জনের উপায় সংক্রান্ত বিষয়ের আর্টিকেলে জানাবো বেশ কিছু পন্য ও সেবার…
Read More