কোভিড ১৯ নিয়ে আমরা নুতন কিছু প্রতিনিয়ত জানছি, চেষ্টা করছি এর থেকে কিভাবে বের হয়ে আসা যায়। বৈশ্বিক এ মহামারী থমকে দিয়েছে পুরো পৃথিবীকে। সারাবিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬০-১৪০ ন্যানোমিটারের ক্ষুদ্র নভেল করোনা ভাইরাস, আর প্রতিদিন কেড়ে নিয়েছে লাখো প্রাণ।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানকে জানতে পারছে আরও গভীরভাবে। নিজে সচেতন হচ্ছে সাথে সচেতন করছে তার চারপাশের মানুষদের। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা নভেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আবিষ্কার করছে নতুন সব তথ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই কিছু তথ্য যা হতে পারে আপনার কাছে হতে পারে অজানা।
১. কোনটি ভাইরাস এবং রোগ?
SARS-CoV-2 এবং কোভিড-১৯ এক জিনিস নয়। প্রথমটি হল ভাইরাসের নাম যার দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হয়, আর এর ফলে সৃষ্ট রোগের নাম হল কোভিড-১৯।
২. ঘ্রাণের অনুভূতি এবং স্বাদের অনুভূতি হ্রাস আরো একটি লক্ষন!
কোভিড-১৯ এর সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রথম লক্ষণ হল জ্বর, গলা ব্যথা,শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এছাড়াও অস্বাভাবিক লক্ষণের একটি হল ঘ্রাণ/স্বাদের অনুভূতি হ্রাস পাওয়া। সাউথ কোরিয়া এবং জার্মানি তে কিছু করোনা পজিটিভ রোগীর প্রথম উপসর্গ ছিলো এটি। তাই হঠাৎ করে যদি আপনার এমন অনুভূতি হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি সফটওয়্যার কোম্পানি।
- ১০ টি খাবার যা বিড়ালকে জন্য হতে পারে ক্ষতিকর ?
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি অনলাইন খাদ্য বিতরণ পরিষেবা ।
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ টি ই-লার্নিং ওয়েবসাইট এবং শিক্ষামূলক অ্যাপ
- সেরা ১০টি বাংলাদেশী খাবার
৩. একমাত্র উপসর্গ যখন হজমের সমস্যা!
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণ উপসর্গগুলোর সাথে সাথে হজমে সমস্যা যেমন- ক্ষুধামন্দা, ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনা পজিটিভ কিছু রোগীর জ্বর,গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মত সাধারণ উপসর্গ গুলো অনুপস্থিত ছিলো। তাদের একমাত্র উপসর্গ ছিলো হজম বা পরিপাকের সমস্যা।
৪. A ও B রক্তের গ্রুপ এবং করোনা ঝুঁকি!
রক্তের গ্রুপের সাথে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র আছে কি না তা এখনও গবেষণা সাপেক্ষ। তবে চায়না, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য দেশগুলোতে প্রাথমিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব করোনা পজিটিভ রোগী হাসপাতালে ভর্তি তাদের মধ্যে A এবং B রক্তের গ্রুপধারী মানুষের সংখ্যা O রক্তের গ্রুপধারী মানুষের তুলনায় বেশি।
৫. বাতাসেই তিন ঘন্টা অবস্থান!
করোনায় আক্রান্ত রোগীর রেস্পিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও এই SARS-CoV-2 বা নভেল করোনা ভাইরাস বাতাসে প্রায় ৩ ঘন্টা বেঁচে থাকে যা সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে সক্ষম। গবেষণায় দেখা গেছে, কার্ডবোর্ডের উপরিতলে প্রায় ১ দিন, প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলের উপরিতলে প্রায় ২-৩ দিন এ ভাইরাস বেঁচে থাকে। তাই এসব তল স্পর্শ করার পর এবং মুখ, চোখ স্পর্শ করার পূর্বে সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করে নেয়া আবশ্যক।
কোন তথ্যটি আপনার কাছে নতুন? জানিয়ে দিন কমেন্ট বক্সে।
Sources:
- hms.harvard.edu
- www.nejm.org
- 112.international
- www.healthgrades.com
- www.medrxiv.org
- www.ncbi.nlm.nih.gov
লেখকঃ উম্মে সুরাইয়া