দেশের নাগরিকদের পেনশনব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করছে সরকার । সারা বাংলাদেশে প্রায় ৬ কোটি মানুষ কর্মজীবী রয়েছে। যাদের মধ্যে ৮০% মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং ২০% মানুষ সরকারি চাকরি করে। এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী নিয়ে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা শুরু করতে আছে সরকার।দেশে প্রায়ই অবসরপ্রাপ্ত সাড়ে ১১ লাখ এর অধিক সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও এই পেনশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চলুন জেনেনিই সার্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে
সার্বজনীন পেনশন স্কিম কি ?
সার্বজনীন পেনশন স্কিম হলো বাংলাদেশ সরকারের অবসরভাতা উদ্যোগের একটি ব্যবস্থা। একজন ব্যক্তির বয়স ও অবদানের হিসাবের উপর নির্ভর করে এই সুবিধার তারতম্য হয়ে থাকে। যদি অবদানের ন্যূনতম সংখ্যক অবদানের যোগ্যতার বছর থাকে সেক্ষেত্রে কেউ পেনশন দাবি করতে পারে।
সার্বজনীন পেনশন স্কিম নীতি
সার্বজনীন পেনশন সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় এই পেনশন পেতে পারেন, ভবিষ্যতে এই পেনশন সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। পেনশন পেতে হলে একজন নাগরিককে কমপক্ষে দশ বছরের জন্য অবদান রাখতে হবে, যার পরিমাণ তিনি নিজেই নির্দিষ্ট করতে পারবেন। দশ বছর বয়সের আগে কেউ মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের টাকা দেওয়া হবে।ও ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন তখন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন । বেসরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তাদের সংস্থাটি সার্বজনীন পেনশনে যোগদান করলে তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বছর শেষ হওয়ার আগে সম্পূর্ণ অবদানের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে অস্থায়ী সময়ের জন্য পেনশন হিসাব স্থগিত করা হবে যা বকেয়া পরিশোধের মাধ্যমে সক্রিয় করা যেতে পারে। পেনশন হিসাবধারীর বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে তারা মাসিক হারে পেনশন পেতে থাকবেন যা তাদের জমাকৃত পরিমাণের মোট পরিমাণ ও বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের সমান হবে। ৮০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার ৫ বছর আগে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ব্যক্তির পেনশন তার মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। জমাকৃত অর্থের অর্ধেক অর্থ ঋণ হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি ১৮ থেকে ৪২ বছর বয়স পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে অবদান রাখেন, তবে ৬০ বছর বয়স থেকে তারা প্রতি মাসে পেনশন হিসাবে ৳৬৪,৭৭৬ পাবেন এবং যদি কেউ ৩০ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর ধরে অবদান রাখেন তবে তাকে প্রতি মাসে ৳১৮,৯০৮ দেওয়া হবে।
সার্বজনীন পেনশন স্কিম কত ধরনের ?
সার্বজনীন পেনশনের অধীনে চার ধরনের অবসরভাতা প্রদান করা হবে:
- প্রগতি: এটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য। এর মাসিক চাঁদার হার ৳১০০০ থেকে ৳৫০০০ হবে।
- সুরক্ষা: এটি আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য। এর মাসিক চাঁদার হার ৳৫০০ থেকে ৳৫০০০ হবে।
- সমতা: এটা নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এর মাসিক চাঁদার হার হল ৳৫০০। চাঁদার ৫০% সরকার প্রদান করবে।
- প্রবাসী: এটি দেশের বাইরে কর্মরত নাগরিকদের জন্য। এর মাসিক চাঁদার হার ৳৫০০ থেকে ৳৫০০০ হবে।
প্রবাস স্কিম
মাসিক চাঁদা হার | ৫,০০০ | ৭,৫০০ টাকা | ১০,০০০ টাকা |
চাঁদা প্রদানের মোট সময় [ বছর ] | মাসিক পেনশন [ টাকা ] | মাসিক পেনশন [ টাকা ] | মাসিক পেনশন [ টাকা ] |
৪২ | ১,৭২,৩২৭ | ২,৫৮,৪৯১ | ৩,৪৪,৬৫৫ |
৪০ | ১,৪৬,০০১ | ২,১৯,০০১ | ২,৯২,০০২ |
৩৫ | ৯৫,৯৩৫ | ১,৪৩,৯০২ | ১,৯১,৮৭০ |
৩০ | ৬২,৩৩০ | ৯৩,৪৯৫ | ১,২৪,৬৬০ |
২৫ | ৩৯,৭৭৪ | ৫৯,৬৬১ | ৭৯,৫৪৮ |
২০ | ২৪,৬৩৪ | ৩৬,৯৫১ | ৪৯,২৬৮ |
১৫ | ১৪,৪৭২ | ২১,৭০৮ | ২৮,৯৪৪ |
১০ | ৭,৬৫১ | ১১,৪৭৭ | ১৫,৩০২ |
প্রবাস স্কিম:এটি দেশের বাইরে কর্মরত নাগরিকদের জন্য
প্রগতি স্কিম
মাসিক চাঁদা হার | ২,০০০ টাকা | ৩,০০০ টাকা | ৫,০০০ টাকা |
চাঁদা প্রদানের মোট সময় [বছর] | মাসিক পেনশন [টাকা] | মাসিক পেনশন [টাকা] | মাসিক পেনশন [টাকা] |
৪২ | ৬৮,৯৩১ | ১,০৩,৩৯৬ | ১,৭২ ৩২৭ |
৪০ | ৫৮,৪০০ | ৮৭,৬০১ | ১,৪৬,০০১ |
৩৫ | ৩৮,৩৭৪ | ৫৭,৫৬১ | ৯৫,৯৩৫ |
৩০ | ২৪,৯৩২ | ৩৭,৩৯৮ | ৬২,৩৩০ |
২৫ | ১৫,৯১০ | ২৩,৮৬৪ | ৩৯,৭৭৪ |
২০ | ৯,৮৫৪ | ১৪,৭৮০ | ২৪,৬৩৪ |
১৫ | ৫,৭৮৯ | ৮,৬৮৩ | ১৪,৪৭২ |
১০ | ৩,০৬০ | ৪,৫৯১ | ৭,৬৫১ |
প্রগতি স্কিম :এটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য
সুরক্ষা স্কিম
মাসিক চাঁদা হার | ১,০০০ টাকা | ২,০০০ টাকা | ৩,০০০ টাকা | ৫,০০০ টাকা |
চাঁদা প্রদানের মোট সময় [ বছর ] | মাসিক পেনশন [ টাকা] | মাসিক পেনশন [ টাকা] | মাসিক পেনশন [টাক] | মাসিক পেনশন [ টাকা ] |
৪২ | ৩৪,৪৬৫ | ৬৮,৯৩১ | ১,০৩,৩৯৬ | ১,৭২,৩২৭ |
৪০ | ২৯,২০০ | ৫৮,৪০০ | ৮৭,৬০১ | ১,৪৬,০০১ |
৩৫ | ১৯,১৮৭ | ৩৮,৩৭৪ | ৫৭,৫৬১ | ৯৫,৯৩৫ |
৩০ | ১২,৪৬৬ | ২৪,৯৩২ | ৩৭,৩৯৮ | ৬২,৩৩০ |
২৫ | ৭,৯৫৫ | ১৫,৯১০ | ২৩,৮৬৪ | ৩৯,৭৭৪ |
২০ | ৪,৯২৭ | ৯,৮৫৪ | ১৪,৭৮০ | ২৪,৬৩৪ |
১৫ | ২,৮৯৪ | ৫,৭৮৯ | ৮,৬৮৩ | ১৪,৪৭২ |
১০ | ১৫,৩০ | ৩,০৬০ | ৪,৫৯১ | ৭,৬৫১ |
সুরক্ষা স্কিম:এটি আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য
সমতা স্কিম
মাসিক চাঁদা হার | ১,০০০ টাকা [ চাঁদাদাতা ৫০০ টাকা + সরকারি ভাগ ৫০০টাকা ] |
চাঁদা প্রদানের মোট সময় [ বছর ] | মাসিক পেনশন [ টাকা ] |
৪২ | ৩৪,৪৬৫ |
৪০ | ২৯,২০০ |
৩৫ | ১৯,১৮৭ |
৩০ | ১২,৪৬৬ |
২৫ | ৭,৯৫৫ |
২০ | ৪,৯২৭ |
১৫ | ২,৮৯৪ |
১০ | ১,৫৩০ |
সমতা স্কিম :এটা নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।
৫ টি ধাপে সার্বজনীন পেনশন স্কিমে আবেদন করার উপায় ।
প্রথম ধাপ
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জন্য ‘ইউপেনশন’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। আগ্রহীদের জন্য www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন ।নিবন্ধন প্রক্রিয়ার প্রথমেই ‘ইউপেনশন’ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর একটি পাতা আসবে, সেখানে লেখা থাকবে, ‘প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনো ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’তবে ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছে পেনশন কর্তৃপক্ষ।
এরপর ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা ও প্রগতি – এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে।উল্লেখ্য, ক্যাপচা দেয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা আসবে। সেখানে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এ তথ্যগুলো দেয়া আছে)।তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লেখার পাশাপাশি পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, শিক্ষক, আইনজীবী, দিনমজুর, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ রয়েছে। সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের পাতায় (‘স্কিম তথ্য’) যেতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
স্কিম তথ্যের পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক তিনটি অপশন রয়েছে। ধরন বাছাই শেষে ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম ও ব্যাংকের শাখার নাম লিখতে হবে। এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে।এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
‘সম্পূর্ণ ফরম’ নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখা যাবে। সেখানে কোনো তথ্য ভুল থাকলে আবার শুরু থেকে গিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। তবে সব তথ্য ঠিক থাকলে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করা যাবে।এর আগে, রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে।
সূত্র জানায়, এ কর্মসূচিটি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের জন্য প্রযোজ্য কোনো স্কিমে অংশ নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরাও স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে স্কিমে অংশ নেয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা দেয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন।
আর প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও প্রযোজ্য স্কিমে পাসপোর্টের ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরা প্রযোজ্য স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে এতে অংশ নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।
কোনো স্কিমে নিবন্ধনের জন্য দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিককে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফরম অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।আবেদনে উল্লিখিত আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এবং অনিবাসী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেয়ার তারিখ অবহিত করা হবে।